উত্তর লামছি মানব কল্যাণ যুব সংগঠন
ভূমিকা :
দুঃখকে বরণ করতে সুখে দুঃখে জনম ভরে প্রশান্তিতে থাকবার চেষ্টা করুন ও যার না আছে সুখ ও না আছে আনন্দ তার পাশে থাকুন। আমরা মানবের কল্যাণে কাজ করতে চাই এবং সমাজ থেকে অপসংস্কৃতি দূর করতে চাই। আসলে যে চরম দরিদ্রতার মধ্যে বাস করছে, সেই মানুষের হাতে সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেই। নানান সমাজিক কাজে অংশ গ্রহন করা এবং মানবের কল্যাণে কাজ করা চরম সুখের নয় বরং এটি একটি মহৎ কাজ ও বটে।
আমরা চাই সমাজের সকল মানুষের সঙ্গে একে অপরের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মানবতার কল্যাণে একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম তৈরী করা এবং আদর্শ ভিত্তিক গবেষণা দ্বারা সমাজ কল্যাণের পথ খোজা।
সেই চিন্তা দ্বারা মাথায় নিয়ে পথ চলা (উত্তর লামছি মানব কল্যাণ যুব সংগঠনের লক্ষ্য) যদি একটি অসহায় মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাতে পারি তাহলে পরম তৃপ্তি। একটি পথভ্রষ্ঠ মানুষকে আলোর পথে আনতে পারি সেটা চরম পাওয়া। তাই আসুন উত্তর লামছি মানৰ কল্যাণ যুব সংগঠন এর পরিবারের সাথে আপনি সহযাত্রী হয়ে মানবের কল্যাণে এগিয়ে আসুন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
মানবসেবা ও সমাজে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন সাফল্য অর্জন করা এবং ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পুনর্গঠন, সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন ও দুস্থ মানবতার সেবা করা এবং
সমাজের সবার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ সৃষ্টি করে সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।সামাজিক সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে কাজের মাধ্যমে সফল, স্বয়ংক্রিয় ও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ক্ষমতায়িত করাই আমাদের লক্ষ-উদ্দেশ্য।
উদ্দেশ্যঃ আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন।
বৈশিষ্ট্যঃ
১। যে কোন জনকল্যাণ মূলক কাজ করা।
২। দুস্থ এতিম ও অসহায় মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ।
৩। গরিব ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা মূলক কাজে সহায়তা করা ।
৪ । ত্রান সামগ্রী প্রধান করা (বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও ইত্যাদি কাজে সহায়তা করা)।
৫। মাদক মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বহন করা।
৬। সকল প্রকার অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
৭। উশৃংখলকে সু-শৃংখল করা।
৮। গরীবদের দাপন-কাপন কাজে সহায়তা করা।
৯। সমাজিক সকল প্রকার জনকল্যাণ মূলক কাজের সহায়তা করা।
নীতিমালা
>সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত হবে।
>কার্যনির্বাহী কমিটির পরামর্শক্রমে যে সিদ্ধান্ত উপনীত হন তা অন্য সকল সদস্যকে মেনে নিতে হবে।
> এই সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দল বা মতের সাথে একমত পোষণ করেন না।
>প্রত্যেক সদস্যের মাসিক চাঁদা সর্বনিম্ন ৫০ টাকা কিংবা ১০০ টাকা হবে। এর চেয়ে বেশি কেউ দান করতে চাইলে উহা তার উদারতার পরিচয় দিবে।
>বায়তুলমালের হিসাব নির্ধারিত অর্থ সম্পাদক'র কাছে থাকবে অর্থাৎ অর্থাৎ কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্য থেকে একজন হবে।
>বছরে কার্যনির্বাহী কমিটির বায়তুলমালের হিসাব অডিট করবে এবং সদস্য সম্মেলন ডেকে অডিটের রিপোর্ট পেশ করা হবে।
>উল্লিখিত নীতিমালা প্রয়োজনে পরিবর্তন পরিবর্ধন হতে পারে পরামর্শ সাপেক্ষে।
শর্তাবলী
১। প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসিক এয়ানত দিতে হবে।
২। যদি কোন সদস্য তার মাসিক এয়ানত টানা ৩ মাস পর্যন্ত নাদিতে পারে তাহলে তাকে ৪র্থ মাসে পুরো এয়ানত পরিশোধ
করে তার সদস্য পদ বহাল রাখবে। অন্যথায় তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩। সদ্যস্যের মাসিক এয়ানতের ৫০/- টাকা থেকে ৩০/- টাকা হারে মানব কল্যাণ কাজে ব্যবহার হবে। উক্ত টাকার সদস্যদের কোন দাবী থাকবে না। এবং সদস্যদের প্রদত্ত ২০/- টাকা সদস্যের নিজ নামে জমা থাকবে। ৪। কোন সদস্য যদি সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয় তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
৫। যদি কোন দায়িত্বশীল সংগঠনের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথারিতি পালন না করে তাহলে তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহিত দেওয়া হবে।
৬। সংগঠনের কোন কাজে যদি কোন সদস্যকে আহবান করা হয় তাহেল উপস্থিত থাকতে হবে।
৭। সংগঠনের সদস্যদের কল্যাণ ফি, প্রবাসী উপদেষ্টা পরিষদের অনুদান বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গ দাতার সদস্যদের ও সংগঠনের অনুদানই হইবে, ইহা সংগঠনের আয়ের আরেকটি উৎস্য।
৮। পরামর্শ ভিত্তিক যারাই কমিটির দায়িত্বে আসবেন সকল সদস্যদের তাদের নির্দেশনা মানা বাধ্যতা মূলক, যদি কোন সদস্য দায়িত্বশীলদের ব্যাপারী কোন অভিযোগ থাকে তাহলে উপদেষ্টা কমিটিকে অবগত করবেন।
৯। প্রত্যেক মাসে ০৭ তারিখের মধ্যে এয়ানত পরিশোধ করতে হবে এবং করা বাধ্যতা মূলক। ১০। সংগঠনের কোন অর্থ ব্যাক্তিগত বা অন্য কোথাও সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন ছাড়া ব্যয় করা সম্পূর্ন নিষেধ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন